Comments

6/recent/ticker-posts

বিটকয়েনের বাজারে আবারও অস্থিরতা

Bitcoin cryptocurrency price highly up down


২০২১ সালের নভেম্বরে দাম ছিল ৬৪৪০০ ডলার, গত ডিসেম্বরে কমে হয় ১৬,৫২৯ ডলার, ২১ জানুয়ারি বেড়ে হয় ২৩,০২৫ ডলার * ভারত ও চীন সীমিত আকারে ডিজিটাল মুদ্রা বাজারে ছেড়েছে



বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে অনুমোদনহীন ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে বিটকয়েনের দাম পড়তে শুরু করে। ডিসেম্বর পর্যন্ত পড়েছে। গত ১৪ মাসে এর দাম প্রায় চারগুণ কমেছে।

২০২১ সালের নভেম্বরে এর দাম সর্বোচ্চ ৬৪ হাজার ৪০০ ডলার উঠেছিল। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা কমে সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ৫২৯ ডলারে নেমেছে। ওই সময়ে এর দাম কমেছে ৪৭ হাজার ৮৭১ ডলার।

বিটকয়েনের দামে এত বেশি দরপতনের কারণে যারা এতে বিনিয়োগ করেছিলেন তারা ব্যাপকভাবে পুঁজি হারিয়েছেন। তবে ২ জানুয়ারি থেকে এর দাম বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার পর্যন্ত এর দাম বেড়ে ২৩ হাজার ২৫ ডলার হয়েছে। গত ২০ দিনে এর দাম বেড়েছে ৬ হাজার ৪৯৬ ডলার বা প্রায় ৪০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকও ডিজিটাল মুদ্রা বাজারে ছাড়ার জন্য সমীক্ষা করছে।এখানে বাংলাদেশ ব্যাংক ভারত এবং চীন বিটকয়েনের বাজার এর পরিস্তিতি পরিলক্ষণ করবে।

এদিকে টাকায় ২ জানুয়ারি প্রতি বিটকয়েনের দাম ছিল ১৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা। ২১ জানুয়ারি তা বেড়ে ২২ লাখ ২৪ হাজার টাকায় উঠেছে। ডিসেম্বরে এর দাম সর্বনিম্ন ১৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকায় নেমেছিল। ২০২১ সালের নভেম্বরে এর দাম সর্বোচ্চ ৫২ লাখ টাকায় উঠেছিল।

২০০৯ সালে প্রতি বিটকয়েনের দাম ছিল ১ ডলার। ২০১৯ সালের নভেম্বর তা বেড়ে ১১ হাজার ৩৭০ ডলারে উঠে। ২০২০ সালে মার্চে আবার কমে ৫ হাজার ১৬৫ ডলারে নামে। ২০২১ সালের নভেম্বরে এর দাম বেড়ে সর্বোচ্চ ৬৪ হাজার ৪০০ ডলারে উঠে। এরপর থেকে কমতে শুরু করে। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা কমে সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ৫২৯ ডলারে নেমেছে। গত ১৪ মাসে এর দাম প্রায় চারগুণ কমেছে। অর্থাৎ ৪৭ হাজার ৮৭১ ডলার। তবে ২ জানুয়ারি থেকে এর দাম বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার পর্যন্ত এর দাম বেড়ে ২৩ হাজার ২৫ ডলার হয়েছে। গত ২০ দিনে এর দাম বেড়েছে ৬ হাজার ৪৯৬ ডলার বা প্রায় ৪০ শতাংশ।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে বিটকয়েনের লেনদেন নিষিদ্ধ। তারপরও ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কতিপয় ব্যক্তি এর মাধ্যমে লেনদেন করছেন। একই সঙ্গে অনলাইন জুয়ার দেনা-পাওয়া সম্পন্ন করার জন্যও এ কয়েন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বেশকিছু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।

এদিকে আইএমএফ’র প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বিটকয়েনে যারা বিনিয়োগ করেছেন তাদের প্রায় সবাই ব্যাপকভাবে পুঁজি হারিয়েছেন। স্বর্ণ, শেয়ার ব্যবসা, বৈদেশিক মুদ্রা, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যারা বিনিয়োগ করেছেন তাদের পুঁজির মুনাফা বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে স্বর্ণে বিনিয়োগকারীদের। এরপরেই রয়েছে ডলারে বিনিয়োগকারীদের অবস্থান।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীরা। তবে ইউরো ও পাউন্ডে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা বেশ কম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিটকেয়েনের দাম যেভাবে কমছিল, তাতে আর্থিক খাতে ঝুঁকির মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল। কেননা বিশ্বের অনেক দেশে আন্তর্জাতিক লেনদেনে বিটকয়েন ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে বিটকয়েন অন্যতম একটি উপকরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরাও আন্তর্জাতিক লেনদেন করার জন্য বিটকয়েনে আগাম বুকিং দিয়ে রাখছেন।



Post a Comment

0 Comments